সর্বশেষ ঘোষণা
আগামী ২১/০১/২০২৪ ও ২২/০১/২০২৪ তারিখে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রীর নিচে নামতে পারে তাই উক্ত ২ দিন মাদ্রাসা বন্ধ থাকবে। শিশু থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত বিজ্ঞান বিভাগসহ ছাত্র ছাত্রী ভর্তি চলছে ১ জানুয়ারী ২০২৪ বই উৎসবে সকল শিক্ষার্থীদের উপস্থিত হয়ে বই সংগ্রহের অনুরোধ করছি। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ বেলা ১১টায় ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ফলাফল ঘোষণা। সকল অভিবাবককে উপস্থিত হওয়ার অনুরোধ করছি। আলিম পরীক্ষার ফলাফল-২০২৩ নৈপুন্য অ্যাপে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তথ্য ইনপুট চলমান ৬ষ্ঠ শ্রেণির ESIF রেজিষ্ট্রেশন চলছে। প্রয়োজনীয় কাগজ, ছবি ও ফি সহ রেজিঃ ফরম পুরুণ করে আগামী ১৫/১১/২০২৩ তারিখের মধ্যে অফিসে জমা দিতে অনুরোধ করা হলো Anual Exam & Fainal Assesment Rutin_2023 দুর্গাপূজা (দশমী) উপলক্ষে আগামী ২৪/১০/২০২৩ তারিখ মাদ্রাসা বন্ধ থাকবে। আলিম ১ম বর্ষ (২০২৩-২০২৪) রেজিষ্ট্রেশন শুরু ২৯/১০৯/২০২৩ যথাযোগ্য মর্যাদায় শেখ রাসেলের জন্ম দিবস পালিত আগামী ০৫/১১/২০২৩ তারিখ থেকে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে ইনশায়াল্লাহ আলিম ১ম বর্ষের ক্লাস উদ্বোধন ০৮/১০/২০২৩ আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষক দিবস-২০২৩ উৎযাপিত বাৎসরিক ছুটির তালিকা-২০২৩ ক্লাস রুটিন-২০২৩ ২০২৩ সালের ৮ম শ্রেণির রেজিষ্ট্রেশন চলছে স্বাগতম বশিরাবাদ দাওয়াতুল ইসলাম আলিম মাদ্রাসার নিজস্ব ওয়েবসাইটে

প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

image-not-found

শিক্ষা ক্ষেত্রে অবহেলিত এলাকা রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার অন্তর্গত বশিরাবাদ এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে আদর্শ সুশিক্ষিত ও যোগ্য নাগরিক তৈরীর উদ্দেশ্য নিয়ে আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বশিরাবাদ দাওয়াতুল ইসলাম আলিম মাদ্রাসাটি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাদ্রাসাটি অত্র এলাকায় শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে।প্রতিষ্ঠানটি রাজশাহী শহরের পূর্ব উত্তর কোনে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল (নতুন)ও মহিলা পলিটেকনেকের পূর্বে এবং গ্যাস ফিল্ড ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমীক ইউনিটের(কৃষি কলেজ) পশ্চিমে শহর বাইপাস সড়কের ২০০ গজ উত্তরে ছায়াঘেরা একটি মনোরম পরিবেশে অবস্থিত।
মাদ্রাসার ইতিহাস থেকে জানা যায় যে,১৯৯২ সালে রাজশাহী শহরের বড়বনগ্রাম বশিরাবাদ নিবাসী মরহুম আলহাজ্জ্ব মো: বশির উদ্দীন রাজশাহী শহর বাইপাস সড়কের ২০০ গজ উত্তরে এক একর ষোল শতক জমি দান করেন। অতপর প্রচলিত সমাজে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ইসলামী শিক্ষা তথা মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত করে আদর্শ নাগরিক তৈরীর অপরিহার্যতা উপলদ্ধি করে উক্ত জমির উপর এলাকাবাসী একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেন।এরপর সেখানে ইবতেদায়ী মাদরাসা ও মসজিদ নির্মান করা হয়।
পরবর্তীতে মাদ্রাসাটি দাখিল পর্যায়ে উন্নীত করার পরিকল্পনা করা হলে আলহাজ্ব বশির উদ্দিন আরও ৯৭.২৫ শতাংশ এবং তার ছেলে ইব্রাহিম খলিল, মছির উদ্দিন, মানছু বেগম, নেকজান বিবি ও আব্দুস সামাদ আলি জমিদান করেন। উক্ত জমির ওপর পর্যায়ক্রমে প্রতিবছর নতুন শ্রেণী খোলার মাধ্যমে ০১/০১/২০০১ তারিখ থেকে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে ৯ম শ্রেণীতে পাঠ দানের অনুমতি লাভ করে। ০১/০১/২০০৩ তারিখ থেকে মাদরাসাটি দাখিল ৯ম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগ খোলার অনুমতি লাভ করে। এরপর ০১/০১/২০০৪ তারিখ থেকে দাখিল পর্যায়ে একাডেমীক স্বীকৃতি লাভ করে এবং একই সালে ০১/০৫/২০০৪ তারিখ থেকে দাখিল শাখা এম.পি,ও ভুক্ত হয়। আলিম শ্রেণী পর্যন্ত চালু করার জন্য এলাকার আপামর জনসাধারণ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান। অতপর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মাদ্রাসা বোর্ডে দাখিল করলে বোর্ড কর্তৃক ০১/০৭/২০০৫ তারিখ থেকে আলিম শ্রণি খোলার অনুমতি লাভ করে। সময়ের চাহিদা বিবেচনা করে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ নাগরিক তৈরীর উদ্যেশ্যে ০১/০১/২০০৭ তারিখ থেকে মাদরাসাটি দাখিল ৯ম শ্রেণিতে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক কম্পিউটার বিভাগ খোলার অনুমতি লাভ করে। এরপর ২০০৭ সালে আলিম পরীক্ষায় এ মাদ্রাসার ছাত্র/ছাত্রীরা প্রথম বারের মত অংশগ্রহন করে সন্তোষজনক ফলাফল লাভ করে।পরবর্তীতে ০১/০৭/২০১১ তারিখ থেকে আলিম সাধারণ বিভাগ একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। ২০১৯ সালে আলিম শাখা এমপিওভুক্ত হয়।
মাদ্রাসা থেকে ছাত্র/ছাত্রীরা প্রতিবছর বোর্ড পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে অধিক সংখ্যক জি.পি.এ-৫ সহ সন্তোষজনক ফলাফল লাভ করে । উল্লেখ্য ২০১২ সালে ৫ম সমাপনী ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফলে যথাক্রমে জেলার শীর্ষে ও বিভাগে ৪র্থ স্থান এবং ২০১৪ সালে জেলার শীর্ষস্থান ও বিভাগে ৩য় স্থান লাভ করে ।এছাড়াও প্রতিবছর সরকারী বৃত্তিতে উপজেলার ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ বৃত্তি কোটার বেশিরভাগই এ মাদ্রাসার ছাত্র/ছাত্রীরা পেয়ে আসছে। প্রতিবছর ৫ম সমাপনী, জেডিসি, দাখিল ও আলিম পরীক্ষার ফলাফলে উপজেলার শীর্ষস্থান দখল করে আসছে। পরীক্ষার ফলাফলের কপি সংযোজিত।

বর্তমানে মাদ্রাসার মোট ছাত্র/ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ৬৯২ জন। শিক্ষক কর্মচারীর সংখ্যা ২৯ জন।

অধ্যক্ষের বাণী

image-not-found

মানব জাতির সূচনা লগ্ন থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ প্রতিনিয়ত জ্ঞান ও কৌশল আয়ত্ব করে চলছে। আর শত সহস্র বছরের সঞ্চিত ও অর্জিত জ্ঞান শেখানো হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যুগের প্রয়োজনে মানবের কল্যাণে সমাজ হিতৈষী ব্যক্তিরা কখনো কখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এমনিই ভাবেই দক্ষ, অভিজ্ঞ, জ্ঞানে সু-গভীর ও বিদ্যানুরাগী বড়বনগ্রাম বশিরাবাদ নিবাসী মরহুম আলহাজ্জ্ব মো: বশির উদ্দীন, মরহুম আতাউর রহমান ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষ, যোগ্য, আদর্শ ও সুনাগরিক রূপে গড়ে তোলার অভিপ্রায় নিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায়, রাজশাহী জেলার পবা উপজেলাধীন পারিলা ইউনিয়নস্থ বশিরাবাদ গ্রামে প্রাকৃতিক ও সু-নিবিড় পরিবেশে মানসম্মত ধর্মীয় ও আধুনিক বিদ্যাপীঠ হিসাবে ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেছেন বশিরাবাদ দাওয়াতুল ইসলাম আলিম মাদ্রাসা। সঠিক ধর্মীয়, নৈতিক শিক্ষা ও যুগোপযোগী আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি গুনগত ও মানসম্মত শিক্ষাদানে সক্ষম। বর্তমান সরকারের শিক্ষা বিষয়ক নির্দেশনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিক্ষকবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়, শিক্ষার্থীদের নিরলস অধ্যয়ন ও অধ্যবসায় এবং অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত পরামর্শে প্রতিষ্ঠানটি জেলার একটি গুরত্বপুর্ণ প্রতিষ্ঠানে উন্নিত হয়েছে। আল্লাহ তা’য়ালা এই প্রতিষ্ঠানটিকে সঠিক ইসলাম ও আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত শিক্ষার মারকায হিসাবে কবুল করে নিন। আমিন!!!

সভাপতির বাণী

image-not-found

১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত বশিরাবাদ দাওয়াতুল ইসলাম আলিম মাদ্রাসা এর ধারাবাহিক সাফল্যে এলাকাবসীর দাবী ও শিক্ষার্থীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে রাজশাহী জেলার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থীদের ও সর্বোপরি এলাকাবাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। এলাকাবাসীর সেবার মনোভাব নিয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রসারে এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে একটি স্থান করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য মানুষের মাঝে এক ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় তাঁরা তাঁদের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করাতে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অভিভাকগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকগণের একাগ্রতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা।